মাহাবুব তার স্ত্রীকে তালাক দিল। তিন মাস পর সে বুঝতে পারল যে, তালাক দেয়াটা তার ভুল হয়েছে এবং সে এখন হালিমাকে ভালবাসে খবর নিয়ে দেখা গেল হালিমাও মাহাবুব এর কাছে ফিরে আসতে চায়। এখন তারা যদি পুনরায় একসাথে বসবাস করতে চায় তাদের পুনরায় বিয়ে করতে হবে।
খুঁটিনাটি স্বামী-স্ত্রী দুজনের পারস্পরিক সিদ্ধান্তে হওয়া আবশ্যক। আমাদের জাতিগত চেতনায় একটা বিষয় এখনো আছে যে, পুরুষ পরিবারের কর্তা তার সিদ্ধান্তেই সব হবে। এজন্যই বাঙ্গালী পরিবারকে পুরুষতান্ত্রিক পরিবার বলে। যদিও আমাদের সমাজের নারীরাও ব্যাপারটা খুব ন্যাচারাল বলেই মনেপ্রাণে ধারন এবং অনুশীলন করে আসছে।
পুরুষ হিসাবে উত্তরাধিকারসূত্রে শুধু মা-বাবার সম্পদ থেকেই অংশ পায়। অপরদিকে একজন নারী সন্তান হিসেবে মা-বাবার কাছ থেকে, এবং বিয়ের পর স্বামী মারা গেলে স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কাছ থেকে, মা হিসেবে সন্তানের কাছ থেকে সম্পত্তির অংশ পায়। নারীদের ওয়ারিশান সব দিক বিবেচনা করলে নারীরা একজন পুরুষের চেয়ে বেশী সম্পত্তির উত্তারাধিকার হয়। মুসলিম আইনে নারীদের সম্পত্তির যে
দেনমোহরের সাথে তালাকের কোন সম্পর্ক নেই। দেনমোহরের সম্পর্ক বিবাহের সাথে। বিবাহ সম্পন্ন হবার পর পরই বরের নিকট স্ত্রীর দেনমোহর পাওনা হয়ে যায়। পরবর্তীতে, যে কোন পক্ষ বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করলে ও বউয়ের দেনমোহরের পাওনা অবশ্যই শোধ করতে হবে। আমাদের দেশে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত আছে যে, বউ যদি তালাক প্রদান করে তাহলে দেনমোহর পরিশোধ করা
তালাক শব্দটাই বিচ্ছেদের, তালাক মানেই ভাঙ্গন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে দুজন মানুষ একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। সেই পথচলা সবসময় মসৃণ হয় না। বাস্তবতা কখনো এমন এক অবস্থার তৈরি করে যখন বিচ্ছেদই হয়ে উঠে একমাত্র সমাধান। আমাদের দেশে এখনো এই বিশ্বাস আছে যে, মুখে তিন বার তালাক বললেই তালাক হয়ে যায়। ইসলাম ধর্ম মতে ব্যাপারটা সত্য হলেও