জাল দলিল বলতে আসলে ভূয়া ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সৃজিত কোন দলিলকে বুঝায়। ইহা আসলে অরজিনাল দলিলের মত দেখতে হলেও এর কোন বিধিবদ্ধ বাস্তবিক অস্তিত্ব থাকেনা, মূলত প্রতারণাত্বক মানসিকতা নিয়েই এই দলিল সৃজন করা হয়।
ল ‘হিসাব’। মূলত জমির মালিকানা স্বত্ব রক্ষা ও রাজস্ব আদায়ের জন্য জরিপ বিভাগ কর্তৃক প্রতিটি মৌজার জমির এক বা একাধিক মালিকের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, ঠিকানা, দাগ নম্বর, ভূমির পরিমাণ, হিস্যা(অংশ), খাজনা ইত্যাদি বিবরণসহ যে ভূমি স্বত্ব প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।
দলিল সম্পাদন বা গ্রহণের জন্য পক্ষগণকে চুক্তি সম্পাদনের যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হয়। অর্থাৎ সম্পাদন কারী অবশ্যই সাবালক হবে, সুস্থ্য বুদ্ধি সম্পন্ন এবং বাংলাদেশের নাগরিক হইবে। কোন শত্রু দেশের নাগরিক অথবা আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত ব্যাক্তি অথবা মাতাল ও নেশাগ্রস্ত হইয়া হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য অবস্থায় দলিল সম্পাদন করিয়া দিলে তাহা বাতিল হিসাবে গণ্য হবে।
আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রকারের দলিলের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর বা মালিকানা বদলী হয়ে থাকে । মালিকানা বদলী বা হস্তান্তরের উপর ভিত্তী করে দলিল সম্পাদনের ধরন নির্বাচন করা হয়। আমাদের দেশে সর্বাধিক প্রচলিত দলিলের পরিচিতি ও ব্যাবহার একে একে বর্ণনা করছি-
বাংলাদেশের আদালতে যত মামলা-মোকদ্দমা আছে তার একটা বড় অংশই জমিজমাকে কেন্দ্র করে। জমি কিনে প্রতারিত হওয়া, জমি থেকে বে-দখল হওয়া, জবর-দখলের চেষ্টা, দলিল ও খতিয়ানের সমস্যা, ওয়ারিশান জমির বন্টন সহ জমিকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় ব্যাপক হারে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের হয়ে থাকে। সম্পত্তি বেদখল বলতে বোঝায় প্রকৃত মালিক বা দখলদারকে তার দখল থেকে জোর করে উচ্ছেদ